ড. জাহাঙ্গীরের রেভ্যুলেশনারী তথ্যের ছোঁয়া শিলার পার্কে ! হারুনুরের ওজন কমেছে ১৯ দিনে ১১ পাউন্ড
নিয়াজ মাখদুম: শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর তত্ত্ব এবং তথ্যের কোন কমতি নেই বর্তমানে। ইউটিউব খুললেই ডজন ডজন বিশেষজ্ঞের মন জুড়ানো তত্ত্ব এবং তথ্যে অনেকেই আকৃষ্ট হন। উদ্যোগ নেন কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারেন না। -এমনটিই দেখা যায় সমাজ দর্পণে। অনেকে নেচারাল পদ্ধতি অবলম্বন করেন, কেউবা অস্ত্রপচারের বিশেষ কামড়া ওটি’তে গিয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান। কেউবা বিভিন্ন জনের অনুসারী হয়ে চেষ্টা চালান। কিন্তু ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।
গত ৩০ নভেম্বর শনিবার বাফেলো শহরের ওয়ালডেনস্থ বিআইসিসি’তে একটি আকিকা অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখরোচক খাবারের আসরে এমন বিতর্ক শোনা গেল বন্ধুদের মাঝে। সবার কথোপকথনের মাঝে যে মন্তব্যটি প্রাধান্য পেল তা ছিল- ‘না খেয়ে বেশি দিন বাঁচতে চান; না-কি তৃপ্তির সাথে খাবারের স্বাদ আস্বাদন করে যে ক’দিন বাঁচা যায়, সেটাই উত্তম?’ এ ধরনের কথপোকথনের মাঝে ইস্টসাইডের শিলার পার্কের সুপরি-চিত মুখ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বললেন, ভাই, আল্লাহর রহমতে গত ১৯ দিনে আমার শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ১১ পাউন্ড কমাতে সক্ষম হয়েছি। খাওয়া-না খাওয়া বিতর্কের মোড় ঘুরে গেল হারুনুর রশিদের দিকে।জানতে চাওয়া হল- কিভাবে এত অল্প সময়ে ১১ পাউন্ড ওজন কমালেন? বললেন, ড. জাহাঙ্গীর কবিরের ভিডিও অনুসরণ করে। আপনার কি কি অসুবিধা ছিল এবং বর্তমানে কেমন অনুভব করছেন? প্রশ্নের উত্তরে হারুনুর বললেন- পূর্বে অনেকগুলো কষ্ট অনুভব করতাম; এখন একটি মাত্র কষ্ট অনুভব করি, তাও সহনীয় হয়ে গেছে বর্তমানে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আমার ডায়াবেটিক্স কন্ট্রোললেস ছিল। ইনস্যুলিন নিতাম, ম্যাটফরমিন খেতাম। এরপরও সুগারের নিয়ন্ত্রণ ছিল না শরীরে। কিন্তু এ ১৯ দিনের ব্যবধানে আমার এখন কোন ইনস্যুলিন নিতে হয় না; ম্যাটফরমিনও আস্তে আস্তে কমিয়ে এনেছি। এছাড়াও বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় থেকে আমার বলতে গেলে সিভিয়ার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছিল। এ নিয়ে অনেক ওষুধ খেয়েছি কিন্তু এখন গ্যাস্ট্রিক বলে যে আমার ভেতরে কিছু আছে তা অনুভব করি না। কোন ওষুধ আর খেতে হচ্ছে না। শুধুমাত্র ক্ষুধার কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, যদিও এর তীব্রতা প্রথম সাতদিন পরেই কমে গেছে।
ড. জাহাঙ্গীর কবিরের ভিডিও’তে এমন কি রেভ্যুলেশনারী তথ্য আপনি অনুসরণ করছে?প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- আপনারা ইউটিউবে ভদ্রলোকের বিভিন্ন অসুখের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের নিয়মানুবর্তিতা এবং খাদ্যাভ্যাসের বর্ণনা রয়েছে। যার যে সমস্যা সে প্রসঙ্গের পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে অবশ্যই উপকৃত হবেন। শিলারপার্কের হারুনুর বলেন, আমি ডায়াবেটিক্সে ভুগছি দীর্ঘদিন।কিন্তু আমার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার ফলে সত্যিই উপকৃত হয়েছি। আমার খাবার মেন্যুতে বাদ দিয়েছি কার্ব অর্থাৎ ভাত, রুটি, দুধ, মিষ্টি।খাবার মেন্যুতে বাড়িয়েছি- ডিম, বাদাম, শাক-সব্জি, মাছ। হানুরুর রশিদ জানান, তিনি দিনে ৩/৪ বার খাবারের পরিবর্তে বর্তমানে ২ বেলা খাবার খাচ্ছি। সকালের নাস্তা একটু দেরী করে খাই এবং খাবারের সময় পেটপুরে খাই। তাতে ক্ষুধা লাগতে লাগতে দুপুর গড়িয়ে যায়। আর সন্ধ্যার পূর্বেই চেষ্টা করি রাতের খাবর খেতে।এ বেলায়ও পেটপুরে খাই। হারুনুর বলেন, পেটপুরে খাওয়ার ফলে বেডে যাওয়া পর্যন্ত আর তেমন ক্ষুধা লাগেনা। এ প্রক্রিয়ায় মাত্র ১৯ দিনে হারুনুর রশিদের ওজন কমেছে ১১ পাউন্ড। এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টির প্রতি তিনি ইঙ্গিত করেছেন তাহল- তার দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিক্স এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে এখন তিনি মুক্ত।
বাসার ঘরনী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, বাসা থেকে সহযোগিতা না থাকলে এ ভাবে করা সম্ভব হতো না। তার সহধর্মীনি মিসেস রওশনারাও এ নিয়ম অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছেন বলে তিনি জানান। হারুনুর রশিদ দম্পতিকে অনুসরণ করে শিলারপার্ক সহ অত্র এলাকার অনেকেই ড. জাহাঙ্গীর কবিরের ইউটিউব দেখে দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে উপকৃত হয়েছেন বলে জানা যায়।
Comments