“নিরন্তর শুভেচ্ছা”
এম এ লতিফ: নিরন্তর শুভেচ্ছা জানাই “বাফেলো বাংলাকে” দুই হাজার সতের সালের ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া “বাফেলো বাংলা” দুই বছর পেরিয়ে আজ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করল। সম্পাদক শ্রদ্ধেয় নিয়াজ মাখদুম ভাই এর নিষ্ঠায় বাফেলো বাংলা দেশের সংবাদপত্র শিল্পে স্বাতন্ত্র বজায় রেখেই এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন সময় প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজস্ব গতি পথে অবিচল থেকে “‘বাফেলো বাংলা” এখন নিউইয়র্কসহ বাফেলোবাসীর হাজারো পাঠকের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর।
জন্মলগ্ন থেকেই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, বিশ্ব রাজনীতি, সার্বভৌমত্ব, স্বকীয়তা যা কিছু পাঠকের জন্য মঙ্গলজনক সে পথে থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছে। সত্য ও সুন্দরের পথে থেকেছে অবিচল, খবর প্রচারে থেকেছে নিরপক্ষ।
নিউইয়র্কে হাজারো মিডিয়ার ভিড়ে বাফেলো বাংলা শুধু একটি গণমাধ্যম নয়; আরো অন্যকিছু। বাফেলো বাংলা হলো একটি চেতনার নাম; যে চেতনা পাঠকদের মানবিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। বাফেলো বাংলা একমাত্র প্রথম বাফেলোবাসীর পত্রিকা যা প্রবাসীর সুখ দুঃখের কথা বলে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঐতিহাসিক শুভক্ষণে সকল পাঠক, সমালোচক, কর্মরত সাংবাদিক-লেখক-বিজ্ঞাপনদাতা-শুভানুধ্যায়ী সকলকেই অফুরন্ত শুভেচ্ছা।
বাফেলো বাংলা বাংলাদেশীদের মানুষের চেতনাকে ধারণ ও লালন করে এগিয়ে চলেছে। ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে একটি সমৃদ্ধ সমাজ ও প্রবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে নিয়াজ মাখদুম ভাই প্রতিষ্ঠা করেন সে লক্ষ্যে বাফেলো বাংলা এখনো অবিচল। এক সময় বলা হতো ‘নলেজ ইজ পাওয়ার’। মিডিয়ার যুগে এখন তা হয়েছে, ‘কমিউনিকেশন ইজ পাওয়ার’। এখন যোগাযোগই বড় শক্তি। প্রবল যোগাযোগ সক্ষমতার কারণে এই বাফেলো বাংলা আজ অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। বাফেলো বাংলা তার জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আধুনিক চিন্তা-চেতনার সংমিশ্রণে এক যুগান্তকারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং অদ্যাবধি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে
এটি একটি নিজস্ব প্রত্যয় নিয়ে জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জাতি একটি সংকট মোকাবেলা করছে।বাফেলো বাংলা প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে সংকটকাল পার করছে। কিন্তু যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা থেকে সামান্যও বিচ্যুৎ হয়নি। বহু বাধার মাঝেই তার দর্শন ধরে রাখার চেষ্টা করেছে । গণতন্ত্রের কথা বলেছে, মানুষের অধিকারের কথা বলেছে।
নানা প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিউইয়র্ক বাফেলোর সর্বস্তরের মানুষের প্রাণপ্রিয় পত্রিকা “বাফেলোবাংলা” সংবাদপত্র জগতে ধ্রুবতারা হয়ে আবির্ভূত হয়। এদেশের মানুষের আশা-আকাখাক্ষা, আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ করে তাদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের একমাত্র প্ল্যাটফর্ম হয়ে আছে বাফেলো বাংলা। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে এবং যে কোনো আগ্রাসী শক্তির বিপক্ষে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আপসহীন ভূমিকা পালন করে চলছে। প্রবাসীর মৌলিক অধিকার এবং ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে বাফেলো বাংলা সব সময়ই অবিচল। গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং এ ব্যাপারে দৃঢ় মনোভাব পোষণ করে আসছে।
বাফেলো বাংলা শুধু একটি পত্রিকা নয়; একটি আদর্শ, একটি প্রতিষ্ঠান। নিউইয়র্কের বাফেলোবাসীর সুখে-দুঃখের কন্ঠস্বর।
হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তাদের নীতি ও আদর্শ ঠিক রাখায় মানুষ পত্রিকাটিকে ভালোবাসে। আমিও পত্রিকাটিতে কলাম লিখে আনন্দ পায়। আমাকে লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহ যুগিয়েছেন সম্পাদক শ্রদ্ধেয় নিয়াজ ভাই।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঋণী করেছেন সাংবাদিক ফজলুল করিম রনি ভাই, আরিফ ভাই, মিজান ভাই, এডভোকেট শহিদুল্লাহ সহ অনেকে, আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পত্রিকাটি আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
প্রবাসীর বৃহত্তর মানুষের যে চিন্তা চেতনা তা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কোন কিছুতেই মাথা নত করা যাবে না। “বাফেলো বাংলা” আরো ভালো করুক, আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাক, এটি সত্যিকার অর্থেই একটা নতুন দিগন্তের সূচনা করুক এটাই কামনা।
এ যাত্রা অব্যাহত থাকুক, “বাফেলো বাংলা” বেঁচে থাকুক আলোকিত পাঠকের হৃদয়ে। আজ তৃতীয় বছর পদার্পণে এ আমার নির্ভেজাল প্রত্যাশা।
Comments