‘পরিস্থিতির শিকার বাফেলোর দু’ বাংলাদেশী’ এবার ইউএস সিটিজেনদের ‘কেঁচো’ খুড়ছে আইস!
বাফেলোবাংলা রিপোর্ট: ইমিগ্রেশন বিষয়ের পর্ব শেষ করার পরেও নিস্তার পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের নেচারালাইজেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সিটিজেনরা। এবার সিটিজেনদের ‘কেঁচো’ খুড়তে শুরু করেছে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট- আইস ডিপার্টমেন্ট। অতি সম্প্রতি বাফেলোর বাসিন্দা বাংলাদেশী কমিউনিটির দুই সিটিজেন এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সূত্র মতে, একজন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করার সময় এ অনাকাঙ্খিত সংকটের মুখোমুখী হন। আর অপর জন পাসপোর্ট রিনিউ করতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার রিনিউ করা পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার পরিবর্তে পূর্বে তার অন্য নামের নথিপত্র দেখিয়ে বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট অফিসারের সাথে দেখা করার নির্দেশ দেয়।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এম্বেসীগুলোর মাধ্যমে আগত ভিজিটর, স্টুডেন্ট, ইমিগ্রেন্ট কিংবা অন্য কোন স্টেটাসে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীতে অন্য নামে বৈধ কাগজ-পত্র তৈরি করেছেন; তারা সিটিজেন হওয়ার পরেও যাদের একাধিক নামের ডকুমেন্ট ধরা পরছে তারাই এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানা যায়।
বাফেলো ছাড়াও নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, ক্যালিফোর্নিয়া, আটলান্টা সহ আরো কয়েকটি শহরে এ সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে ল’য়ারদের স্মরণাপন্ন হয়ে হতাশার বাণী শুনেছেন কেউ কেউ। ল’য়াররাও এ ধরনের কেইসগুলো নিতে চাইছেন না বলে জানান ভুক্তভোগী বাংলাদেশীদের সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে আইনী সহায়তা পেতে ইমিগ্রেশন ক্রিমিনাল ল’য়ারদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অন্যান্য ল’য়াররা।
ল’য়ারদের বক্তব্যানুযায়ী যারা সিটিজেনশিপ পাওয়ার পর দশ বছরের মেয়াদকাল পার করেছেন; তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুকি কম; যদিও প্রশাসন চাইলে যে কাউকে মিথ্যা তথ্য সরবরাহের অজুহাতে সিটিজেনশিপ বাতিল পর্যন্ত করতে পারে।
আরেকটি যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন আইনী পেশার অভিজ্ঞরা; তাহল- বর্তমানে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট একই নেটের আওতায় আনার ফলে যদি কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্র¯্রাব করে এবং তা এনভার্নমেন্টাল ডিপার্টমেন্টের হাতে ধরা পরে, তাহলে ঐ অপরাধীকে শুধু এনভার্নমেন্টাল ভায়োলেশনের জন্যেই জরিমানা করা হবে না, তার অন্যান্য বিষয়েও একই নেট থেকে তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই গাড়ি চালানো, এনভার্নমেন্টাল ইস্যু এবং অন্যান্য নিয়ম নীতি মানার ক্ষেত্রে যেন বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষরা সতর্কতা অবলম্বন করে, সে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা।