ফাহিম সালেহকে নির্মমভাবে হত্যাকারী ৪৮ ঘন্টার ভেতর এই ধরা পড়েছে।
বাফেলো বাংলা ডেস্ক: ফাহিম সালেহকে নির্মমভাবে হত্যাকারী ৪৮ ঘন্টার ভেতর এই ধরা পড়েছে।
খুনি হচ্ছে ফাহিমের পুরাতন সহকারি Tyrese Devon Haspil। যে ১৭ বছর বয়স থেকে ফাহিমের সাথে কাজ করছিল। কিছুদিন আগে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ডেভন ১০০,০০০ ডলার ফাহিমের একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেয়। কিন্তু পরে চুরিতে ধরা পরে যায়। ফাহিম ডেভনকে পুলিশে ধরিয়ে না দিয়ে সুযোগ দিয়েছে আস্তে আস্তে টাকা পরিশোধ করার। আর এই কারণে এবং টাকা পরিশোধ না করার জন্য ডেভন ফাহিমকে খুনের পরিকল্পনা করে।
সিসিটিভিতে দেখা গেছে সোমবার দুপুরে ১:৪৫, কালো স্যুট এবং মাস্ক পরে ডেভন ফাহিমের সাথে তার এপার্টমেন্ট র লিফটে ঢুকে। লিফট হতে বের হবার পর এপার্টমেন্টে প্রবেশের আগে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়৷ ডেভন একটা টিজার গান ব্যবহার করে ফাহিমকে অজ্ঞান করতে দেখা গেছে। পরে গলা আর ঘাড়ে কয়েকবার ছুরি মেরে হত্যা করে।
সেদিন ডেভন ফাহিমের মৃতদেহ তার এপার্টমেন্টে রেখে চলে যায়। পরদিন লাশ গুম করে দেয়ার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ইলেক্ট্রিক করাত নিয়ে আবার ফিরে আসে।
ফাহিমের কাজিন গত এক দিন ধরে ফাহিমের সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে ওর 265 East Houston স্ট্রিটের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে খোঁজ নিতে আসে। ওই সময় ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে ডেভন ফাহিমের মাথা হাত পা কেটে ফেলে কনস্ট্রাকশনের বেগে ভরছিল। কাজিন চলে আসায় ডেভন ওভাবেই সব ফেলে পিছনের সিঁড়ি / fire escape দিয়ে পালিয়ে যায়।
ডেভন ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে home depot থেকে ইলেকট্রিক করত কিনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সৌদি আরবে জন্ম নেওয়া ফাহিম পরিবারের সাথে আমেরিকায় পাড়ি দেন অল্প বয়সে। গতবছর ২.৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে অভিজাত এলাকায় একটি এপার্টমেন্ট কিনেন। ফাহিম সালের পরিবার Rochester থাকেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ফাহিম ছিলেন খুবই মেধাবী। হাইস্কুলে থাকা অবস্থাতেই PrankDial.com একটি ওয়েবসাইট খুলে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পাঠাও এবং নাইজেরিয়াতে গোকাদা নামে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ শুরু করেন।
অনেকেই ফাহিম সালেহকে বাংলাদেশি ইলন মাস্ক বলে আখ্যায়িত করেছেন। সে হতে পারতো শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য না বিশ্বের জন্য এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ফাহিমের এই নির্মম মৃত্যুতে আমেরিকার বিভিন্ন বাংলাদেশি কমিউনিটির মতোই বাফেলো বাংলাদেশী কমিউনিটি ও শোকাহত।
Comments