Monday, October 2, 2023
First Bangla Newspaper In Buffalo,NY


বাফালো বাংলার “বর্ষপূর্তিতে”

By বাফেলো বাংলা , in Politics , at ডিসেম্বর 13, 2019

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম: শত সহস্র অভিনন্দন আর বিনম্র শ্রদ্বায় স্মরণ রাখবো আজীবন “বাফালো বাংলা” উত্তর আমেরিকাতে বাংলাদেশীদের মুখ ” নিয়াজ ভাই এর মুখে একটি কথা ” বাফালোর ইতিহাস লিখলে “মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-এর নাম লিখতেই হবে “এমন পাওনা কে শোধ করবে, বা কি দিয়ে শোধ করবে”।আমিও বলি- “বাফালো প্রথম বাংলা পত্রিকার ইতিহাস লিখতে গেলে যার নামটি লিখতে হবে, তিনি হলেন- “আমাদের প্রিয় নিয়াজ মাখদুম ভাই”। যে ভাবে জাহাঙ্গীর আলম বাফালোতে “বাংলার মুখ”
২০১২ সালে প্রিয় মুরাদ ভাই এর ডাকে বাফালো আগমন ! তারপর ৩৪ স্ট্রাউস বাড়িটি সাথী বন্ধু আরিফ এর অনুপ্রেরণাই মুরাদ ভাই নিবন্ধন করে দেয় নিজ উদ্যেগে। বাফালো নেশা যেন ছাড়েনা ! একেবারে জরাজীর্ণ বাড়িটি পরিপূর্ণ বাড়িতে পরিণত হয় ।
৫৬০ বারের কাছাকাছি কখনো ফ্লাইট ‘ট্রেন’ বাস, নিজ গাড়ি, ভাড়া করা গাড়ি, হরিনের সাথে ধাক্কা আর ও-৯০ এর প্যাট্রোল , অগণিত টিকেট , লাইসেন্স সাসপেন্ড, অনেক স্ট্রাগল ইতিহাস লিখবো এমন অনেক বেশি কিছু অনেকের হয়তো আছে ! কিন্তু “বাফালো বাংলার” হেড লাইন এ “বাংলার মুখ” শীর্ষক লেখাটা অনেক বাফালো আধিবাসীদের জন্যে প্রয়োজন ছিল ! কারণ যেভাবে একটা ভাব গম্বির অবস্থা “কোথেকে কে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল আমাদের ঘরে” এমন সংলাপ আড়ালে ছিল মনে হতো ।নিয়াজ মাখদুম ভাই “লিখেই ফেললো”! বাফালোতে “বাংলার মুখ” মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। মুখ খুলে দিলো আমাদের সহজ সরল বাফালো বাংলা ভাষা ভাষীদের।
আমাকে বাফালো বাংলা নির্বাচিত করেই দিলো “আমি নির্বাচিত” আমি চোখের পানি আর ধরে রাখা সম্বব হয়নি ! এ কি করলো নিয়াজ ভাই ?! আমার বাংলা ভাষায় এত বিরল সম্মান আমি কোথায় রাখবো তাই আমার কবিতা ঐদিনই লেখা হলো : অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ ভাই যে প্রতিদিন কবিতা লিখে ঐটা আমি মনের অজান্তে রপ্ত করতাম যে আমাকে ও একটা লিখতে হবে ।
নেপথ্যে যুদ্ধ আমার কবিতা “বাংলার মুখ” যদি একটু হলেও সুখ দুঃখ দিতে পারছি ‘সেটাই আমার প্রয়াস আর স্বার্থকথা ! একটু পড়ুন আর ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি খোলা রাখলে পরবর্তী প্রজন্ম আপনাদের ও মূল্যায়ন করবে।

“বাংলার মুখ”
কিভাবে শুধিবো দেনা
অচেনা বন্ধু তুমি ও
অনেক পাওনা
তুমি তোমাকে খোঁজ
আর একটু বোঝ
আমার এ যুদ্ধ
অনেকেই ক্ষুদ্ধ
নেই কোনো
ভারী তরবারি
অপছন্দ গোলাবারুদ
অস্ত্র কেবল দোঁয়া দরূদ
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই
আমি সম্মুখে বহমান
পশ্চাতে আমি নেই
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট
বিস্বাস হৃদয়ে
হবে হবে দেখা
দেখা হবে বিজয়ে

প্রজন্ম “অনেকের মাঝে আমি ছুটেছি নির্ভয়ে
“অনেকে অনেকের মুখ দেখতে ও রাজি না “আমাদের বড় গুন্ “ক্ষমা” কাকে বলে? আমাকে ভালোবেসে না বাঙালির মান রক্ষা, একেই চাঁদের আলোতে অথবা আঁধারে বসার আয়োজন ছিল অনেকবার। অক্টোবরের বাফালো মিলন মেলা অসাধারণ এক আয়োজন !
প্রতিপক্ষ “Mitch নৌকোস্কি” একমাত্র আমাকে জুন প্রাইমারি থেকে November ফাইনাল পর্যন্ত টার্গেট করার কারণ কার ও কার ও মতে আমাদের দুএকভাই ওর জন্যে কাজ করাতে আমার গুরুত্ব অভাবনীয় ! তাই আমার কাছে ও তাদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
দুঃখ যদি আমার আর প্রতিপক্ষের দুদিকে যারা সময় দিয়েছেন তাদের বিচার তাদেরকে করতে দেয়া আমি শ্রেয় মনে করি আমরা যদি আমাদের “স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে তাকাই; দেশি ভাইয়েরা “প্রতিপক্ষের হিসেবে” কাজ না করতো তাহলে আমাদের স্বাধীনতা এতটা অর্থবহ হতোনা !

তাদেরকে ও জাতি কখনো বিচারের আওতায় আন্তে পারতোনা !আমার Democrat হিসেবে নেয়া নোমিনেশন কে বিলুপ্ত করার কাজে মিস নৌকোস্কি কে অনেক সহযোগিতা করেছেন আমাদের প্রাণ প্রিয় ভাইয়েরা ।যারা এখন মাথা গুজানোর টাই পাচ্ছেনা ! কারণ মিস এখন আর তাদেরকে তাকাচ্ছেন বলে অনেকের মন্তব্য !
আমরা গণতন্ত্রের অনুসারী আর ডেমোক্রাট দল সাপোর্ট করার জায়গায় বীফ খাওয়া Muslim এর মতো ডেমোক্রাট।
আমাদের দেয়া নেয়া দুটোকেই আমি বিবেচনায় এনে পার্টি যুদ্বে জড়াইনি ! ডেমোক্রাট প্রাইমারি থেকে বের হই! পরবর্তীতে নিজে “United Fillmore ডেমোক্রাট “ স্বতন্ত্র দল নিয়ে ইউনাইটেড Fillmore ডিস্ট্রিক্ট” থেকে নিজের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান সৃষ্টি করে আপনাদের আহবান জানিয়েছি নিরন্তর।
কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা যারা তখন না বুঝে বা বুঝে জাতিকে কবরে নিমজ্জিত করার কাজে নামলে ও সক্ষম হননি !
কারণ “ পরিবর্তনের ধারায় সকল রেসিডেন্ট একযোগে “রাস্তায়” ডেমোক্রাট দলের জন্যে পযধষষবহমব হয়ে গেলো !
প্রথম দফায় “বোর্ড অফ ইলেকশন “ আমার সুনির্দিষ্ট ব্যালট 10-i কে চেঞ্জ করে
10-H  করে অক্টোবর ৩ ২০১৯। অক্টোবর ৭ আমি কমপ্লে ইন ফাইল করার পর ঐদিনেই বোর্ড আমার
10-i {Replace} করে এবং আমরা আমাদের ধারাবাহিক নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাই !
তারই স্রোত ধারায় আগাম ভোট (Early) এ আমাদের প্রচুর ভোটার নেমে আসলে ডেমোক্রাট দল বা প্রতিপক্ষের অবস্থান অনেকটাই শুন্যের কোটায় দাঁড়িয়েছে !
২৬ অক্টোবর থেকে একটানা ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলা ভোট এ আমাদের ভোটের সংখ্যা ১৫০০ এর বেশি হওয়ার কথা “এমনটি মন্তব্য Broadway মার্কেট এর পর্যবেক্ষকদের!”
৪ নভেম্বর সকাল বেলা ভোটের লুক আপ ট্যাব এর মাধ্যমে আমাদের এক ভোটার আমাকে জানালো আমার ব্যালট আবার ও পরিবর্তন ! 10-H তৎক্ষণাৎ আমাদের প্রফেসর জুবায়েদুর রহমান খান ভাই সোহো কমপে ইন রেডি করে আমি বোর্ড অফ ইলেকশন বৎরব কাউন্টি ১৩৪ ওয়েস্ট ঈগল স্ট্রিট এ সরাসরি জমা করে দিয়েছি 1:00 pm এর দিকে !
বোর্ড যথারীতি চেঞ্জ করার প্রতিশ্রুতি দিলে ও ভোটের দিন সকাল বেলা প্রতি ভোট কেন্দ্রে তারা 10-H ব্যালট টাই স্যাম্পল ব্যালট হিসেবে দেয়ালে পোস্ট করে রাখে ।
আমি personally ৩১৭ সবেইসকি স্ট্রিট কেন্দ্র ভিসিট করে যখন বোর্ডকে কমপ্লে ইন করি। তখন “ জাস্টিন “ আমাকে apology বলে সে নিজের হাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট sign পোস্ট করবে প্রতিশ্রুতি দিলে ও সকাল ১০:৩০ এর আগে Konto কেন্দ্রে ব্যালট পরিবর্তন কেও দেখেন নি ! আজ পর্যন্ত ও তারা ভোটের লুক আপ থেকে স্যাম্পল ব্যালট 10-H সরাতে পারেননি বা করেননি !
উল্লেখ্য, আগাম ভোটে আমার ফলাফল ছিল এগিয়ে আমি ২৫৯ ভোট (৪৫%) আর মিচ পেয়েছেন ২৫০ ভোট (৪৩%)। কিন্তু ইলেকশন ডে ভোটের ব্যবধান অবিশ্বাস্য আর আমাদের রাখা হয়েছিল ব্যালট যন্ত্রনায়! এমনি রেজাল্ট এর কারণে “কমিউনিটি নেয়া সিদ্বান্ত অনুসারে ইলেকশন ডে থেকে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বোর্ড অফ ইলেকশন-এর সকল স্তরে গিয়ে নিজে ও অ্যাটর্নি মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন করেছি !
অনেক ডিসপিউট পেয়েছি বোর্ড কে প্রুফ করেছি। তাদের আন-সারও পেয়েছি ‘তারা চায় আমাকে কোর্ট এ পাঠাতে। কোর্ট অর্ডার এনে দিলে তারা অ্যাকশন-এ যাবে !
আমার লিখিত তদন্ত আবেদনও আমি সার্টিফাইড মেইল-এর মাধ্যমে পাঠিয়েছি ! যার কোনো উত্তর আমি আজ অবধি পাইনি !ওরিয়েন্টেশন অনেক নিয়েছি “শেখার শেষ নেই” যে যেভাবে কাজ করেছেন, সে সেভাবে জয় পেয়েছেন; আমি ও আমার জয় পেয়েছি “এমন অনুভূতি ও সেলফ ধংংবংংসবহঃ কে কাজে লাগিয়ে (আমরা করবো জয়) !

– লেখক ফিলমোর কাউন্সিল মেম্বার কেন্ডিডেট, বাফেলো

Comments


মন্তব্য করুন


আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।