বাফেলো বাংলা’র সারপ্রাইজ দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান
বাফেলোবাংলা প্রতিবেদন: সখী ভালোবাসা কারে কয়? ভালোবাসি তোমায়, ভালোবাসি আমি; তুমি কি জানো তা? -এমন অনেক ছন্দ আর সঙ্গীতের সুরধ্বনি ইথারে ভেসে চলেছে মানব সভ্যতার শুরু থেকে। সে ভালোবাসার এক ঝলক আলোকচ্ছটা জ্বলে উঠেছিলো বাফেলো বাংলা’র সারপ্রাইজ দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে।
বাফেলো সিটির ডাউন টাউনের ৭০ নায়াগ্রা স্ট্রীটে এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ‘বায়তুল জান্নাহ গ্রুপ, এলএলসি’ নামে অনানুষ্ঠানিক অফিসের কার্যক্রম শুরু করেছেন। সে অফিস ভিজিট করার জন্য দাওয়াত দিলেন বাফেলো বাংলা টিমকে। যেতেই হবে এবং দেখতেই হবে তাঁর এ নতুন অফিসটি। বিভিন্ন ভাবে প্রচেষ্টার কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও বাফেলো বাংলার পুরো টিম ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার অপরাহ্নে ৭০ নায়াগ্রা স্ট্রীটের গেটে পৌঁছার সাথে সাথে অন্য গাড়ি থেকে নামলেন এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। হাসি-খুশী মুখ। সাথে তাঁর বিচক্ষণ নাইথ গ্রেডের ছেলে আদনান উল্লাহ। দু’হাত ভর্তি ফুলের তোড়া, কেক এবং খাবারের সমাহার। শনিবার বন্ধের দিন।নতুন অফিস ভিজিটের পর্ব। সেখানে ফুলের তোড়া, কেক? বিষয়টি প্রশ্নবোধক মনে হলেও ক্ষণিকেই বুঝা গেল এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাফেলো বাংলা’র জন্যে সারপ্রাইজ দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তাঁর সাথে উপস্থিত হলেন কমিউনিটির শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব আবু ইউসুফ।একদিকে শুধুমাত্র দু’ ব্যক্তি এবং আদনান উল্লাহ আর অন্যদিকে বাফেলো বাংলার পুরো টিম। দৃশ্যটি খুলনার ‘প্রেম কাননে’ ঝাউ গাছের নীচে একান্ত অভিসারে শুধু দু’জনে চুটিয়ে প্রেম করার দৃশ্যের মতই মনে হয়েছে।
এডভোকেট শহীদুল্লাহ বাফেলো শহরে সুপরিচিত মুখ। তিনি চাইলে এক ঘন্টার নোটিশে কয়েক শ’ লোক জড়ো করতে পারেন। কিন্তু কেন তিনি এ কাজটি করলেন, তা সত্যিই ভাববার বিষয়! যখন কারো মনে এক সাগর ভালোভাসা শুধুমাত্র একান্ত কারোর জন্যেই মণিকোঠায় বন্দি করে রাখা হয়; সময় সুযোগে একাকী তা ঢেলে দেয়ার স্বপ্নে; বাফেলো বাংলাকে নিয়ে তাঁর এ কর্মটি তেমন অনুভূতিরই সত্যতা প্রমাণ করেছে।
বক্তাদের দীর্ঘ তালিকা নেই। আয়োজকদের পক্ষ থেকে কথা বললেন দু’জনে। কিন্তু হৃদয়ের গহীন থেকে যখন দু’একটি সত্যিকারের ভালোবাসার নির্যাস নির্গত হয়, তা অনেক মূল্যবান; গভীর অনুভবের। এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আপন অভিব্যক্তি প্রকাশের এক পর্যায়ে বললেন, নিয়াজ মাখদুম ছাড়া আপনারা সবাই নবীন। কিন্তু কত বড় বোঝা আপনাদের কাঁধের উপর চেপে বসে আছে আপনারা হয়তো তা বুঝতে পারছেন না। এর ওজন অনেক বেশী। তিনি কবি নজরুল ইসলামের কবিতার কয়েকটি লাইন উচ্চারণ করলেন-‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’। গানের এ কলি উচ্চারণ করে এডভোকেট শহীদুল্লাহ বললেন, কত বছর পূর্বে কবি নজরুল অতীত হয়েছেন কিন্তু আজো মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে সে বার্তা।
শ্রদ্ধাভাজন আবু ইউসুফ বলেন, বাফেলোর বাংলাদেশী কমিউনিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনের মাঝে কিছুটা দূরত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশীদের সম্পর্কে যেন প্রশাসন ও মূলধারা রাজনীতিবিদদের ধারণা পজেটিভ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হয় সে ব্যপারে বাফেলো বাংলার ভূমিকা জরুরী। তিনিও বাফেলো বাংলা’র দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বাফেলো বাংলা টিমের পক্ষ থেকে এমন সারপ্রাইজ আয়োজনের জন্য দু’জন মুরুব্বিকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।এরপর কেক কেটে এবং বাফেলোবাংলার টিমকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়ার মধ্যদিয়ে এডভোকেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সারপ্রাইজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি ২০৪ নাম্বার রুম ঘুরিয়ে দেখান।রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত যাবতীয় সেবাদানের লক্ষ্যে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ‘বায়তুল জান্নাহ গ্রুপ এলএলসি’ কোম্পানীটির কার্যক্রম গত ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু করেছেন বলে জানান। বাড়ি সংক্রান্ত ‘এ টু জি’ সব ধরনের সেবা নিতে কমিউনিটির সবাইকে তিনি আমন্ত্রণ জানান।