বাফেলো মেডিকেল কেয়ার পিসি’র এক বছর
বাফেলোবাংলা রিপোর্ট: বাফেলো’তে একমাত্র বাংলাদেশী মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বাফেলো মেডিকেল কেয়ার পিসি’র এক বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০১৯ ফেব্রুয়ারীতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সুপরিচিত ডা. জাবের খানের তত্ত্বাবধানের মেডিকেল সেন্টারটি যাত্রা শুরু করেছিলো। এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারী কেক কেটে উদযাপন করেছেন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ডাক্তার ও মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যানরা। ২২০০ জেনেসি স্ট্রীট, বাফেলো’তে অবস্থিত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানটি ৭ দিন খোলা থাকে। সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪:৩০ থেকে ৮টা পর্যন্ত। শুক্র, শনি এবং রবি এ তিনদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
বাফেলো মেডিকেল কেয়ার পিসি’তে ব্লাড টেস্ট, ই.কে.জি, মহিলাদের জন্যে পেপ টেস্ট, মেমোগ্রাম, ফ্লু শট সহ সব ধরনের ভেকসিন সেবা দেয়া হয়। এপয়েনমেন্ট নেয়ার জন্য ৭১৬-৮৯৫-২২০০, ৭১৬-৮৯৫-৫০০০ এবং ৭১৬-৮৯৫-৩০০০ নাম্বারে ফোন করার অনুরোধ হয়েছে।
কমিউনিটির সেবায় সবার জন্যে চিকিৎসার সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ডা.জাবের খান। তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে যেন কোন রোগী ফিরে না যায় সে নির্দেশনাও দিয়েছেন টিমকে। বাফেলো মেডিকেল কেয়ারে সব ধরনের ইন্সুরেন্স নেয়া হয়। যাদের কোন ইন্সুরেন্স নেই, নামমাত্র ফি নিয়ে তাদেরকেও গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। গ্রেটার বাফেলো’র বাংলাদেশীদের ভাষার কথা চিন্তা করে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বাফেলো মেডিকেল কেয়ারে। বাংলা ভাষা সহ অন্যান্য ভাষাভাষীরাও নিজেদের ভাষায় কথা বলে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ডা. জাবের খানের তত্ত্বাবধানে বাফেলো মেডিকেল কেয়ার পিসি’তে ডাক্তার হিসেবে রয়েছেন- ডা. কামরুন্নেসা রহমান (এমডি.), যিনি ২০ বছরের অধিক সময় থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ডা. গোলাম ওয়ারিস( এমডি.), তিনি বিগত ১৬ বছর ধরে প্যাকটিস করছেন। এছাড়াও রয়েছেন ড. জাবের রায়ান। মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন- মারিয়া আব্দুল্লাহা, নোহা রোকেয়া, মিম, ওহিদুল, প্রেমা ও তাহমিনা।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক শহরে ডা. জাবের খানের বেশ কয়েকটি অফিস রয়েছে। বাফেলো বাংলাদেশী কমিউনিটির সেবায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে ডা. জাবের খান মেডিকেল সেন্টারটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী যাত্রা শুরু করেন। প্রথম বছরেই প্রায় এক হাজার ব্যক্তি রেজিট্রেশনের মাধ্যমে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
Comments